সিলেট মহানগর যুবলীগ নেতা শমসের আলীর বাসায় হামলার ঘটনায় আরেক আসামীকে গ্রেফতার করেছে শাহপরাণ (রহ.) থানা পুলিশ।

 


গ্রেফতারকৃত হারুনুর ইসলাম (২১) সিলেট নগরীর শাপলাবাগ- ৩ নং রোড এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।

 

আজ রোববার (৩০ জুন) গ্রেফতারকৃতকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে জানিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অর্নব কুমার চৌধুরী সিলেটভিউকে বলেন, এ মামলা শুক্রবার আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। তাদেরও কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

এর আগে শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে বাসায় হামলা, চাঁদাবাজি, প্রাণনাশের হুমকি ও লুটপাটের অভিযোগ করে থানায় মামলা করেন সিলেট মহানগর যুবলীগের সদস্য শমসের আলী। তিনি ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করেছেন।

 

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সিটি করপোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও  সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদের বাসায় হামলা হয়। একই সময় যুবলীগ নেতা শমসের আলীর বাসায়ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শাহপরাণ থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।

 

যুবলীগ নেতার মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন শেখ নজরুল ইসলাম বিজয় (৩০), ছামাদ আহমদ (২২), রাব্বি (২২), রিয়াজুল (২৪),  ফুজায়েল মল্লিক (২০), ইয়াকীন (২০), সুহেল (৩২), বোরহান (২৫), নাসির (২৩), মো. রাহেল উদ্দিন রাবেন (৩২), তারেক আহমদ (৩১), মুছা খান তপু (২১), শাওন (২৩), শেখ রুহিত (২০), হারুনুর ইসলাম (২১), সাব্বির (২১), সাইফুল ইসলাম ছফু (৩৭)।

 

মামলায় যুবলীগ নেতা শমসের আলী সার উল্লেখ করেন, আসামীগণ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, স্ত্রাস সৃষ্টিকারী, জবর দখলকারী। আমি আমার বাড়ীসংলগ্ন বোরহান উদ্দিন রোডে আবীর ভ্যারাইটিজ স্টোর নাম দোকান দিয়ে ভুষি মালের ব্যবসা করছি। গত ২৬ জুন দুপুরে আসানীরা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি আসামীদের অন্যায়ভাবে চাঁদা দাবীর প্রত্যখান করিলে আসামীরা আমাকে প্রাণেনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়৷ এরপর ২৭ জুন রাত পৌনে ১২টার সময় হাতে আগ্নোয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ আমার বাসা ও দোকানে জোরে প্রবেশ করেন আসামীরা৷ তারা আমার নিকট পূর্বের দাবীকৃত ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আগ্নোয়াস্ত্র দিয়ে আমার মাথায়, পিঠে, বুকে ও পায়ে টেকাইয়া গুলি করে হত্যার ভয় দেখায়।  তখন আমার কাছে টাকা নাই বলে অনুনয় বিনয় করি। এসময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে আমার বাসায় ও দোকানে এলোপাতাড়ীভাবে আঘাত করে আনুমানিক ৩ লাখ টাকার ক্ষতি সাধণ করে। আমার দোকানে ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ ৩৬ হাজার টাকাসহ খুচরা টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। দোকানে থাকা দুধ, বিস্কুট, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেটসহ ২ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করে তারা।

 

একইসঙ্গে আসামীগণ আমার বাসার ভিতরে প্রবেশ করে ভাংচুর করার পর স্ত্রীর বুকে পিস্তল ধরে তার গলা হতে এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। এছাড়া আলমারিতে থাকা নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার, স্ত্রীর রক্ষিত ৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার লুটপাট করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়৷ একইসঙ্গে বাসার অন্য সদস্যদের এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করেন আসামীরা।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / মাহি