চলমান বন্যা সিলেটের গোলাপগঞ্জে পনি ভেসে গেছে ৫ শ খামার, দিঘি,ও পুকুরের মাছ। একের পর এক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পানিতে ভেসে  যাওয়ায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারিরা। শুধু এবারের বন্যায় ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এর আগেও বন্যায় খামারিদের মাছ পানিতে ভেসে গিয়ে কোটি কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সিকিভাগও সহায়তা পাননি খামারিরা।
 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলমান বন্যায় উপজেলার সদর, ভাদেশ্বর, ঢাকাদক্ষিণ, আমুড়া, বুধবারীবাজার, বাদেপাশা, শরীফগঞ্জ, লক্ষণাবন্দ ও লক্ষীপাশা সহ ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা মিলে ৫শ'র বেশী খামার, পুকুর ও দিঘির মাছ অথৈ পানিতে ভেসে গেছে। এতে মাছের খামারিদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ১কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা। টানা বন্যায় মাছ তলিয়ে যাওয়ায় অনেকটা নিঃশ্ব হয়ে পড়েছেন খামারিরা। বার বার বন্যায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাদের দেখার কেউ নেই। ২০২২ সালে বন্যায় পানিতে ভেসে গেছে ২ হাজার মাছের ঘের, দিঘি ও পুকুরের মাছ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ২ কোটি ৯ লক্ষ টাকা।
 


খামারিদের দাবির প্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে উধর্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দিলেও কোন কাজ হয়নি। ফলে সিকিভাগও সহায়তা পায়নি ক্ষতিগ্রস্ত খামারের মালিকরা। চলতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হয়েছে। এতে ৫শ'র বেশী দিঘি, খামার ও পুকুরের মাছ তলিয়ে যাওয়ার তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
 

জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. হাসিবুল হাসান জানান, উপজেলার ৫শ'র বেশী দিঘি, খামার ও পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে যাওয়ার প্রাথমিক তথ্য পেয়েছি। এতে ক্ষতির পরিমান ১কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আমরা তালিকা করে জেলায় পাঠাবো। দেখা যাক কি হয়।
 

তিনি বলেন, ২০২২ সালের বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ছিল আরও বেশী। চেষ্টা করেছি তাদের সহায়তা করার। কিন্তু সম্ভব হয়নি।


 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/হারিছ/এসডি-৫৫৭৮