বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের লগো।

সিলেটে সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রলীগের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে মুখ প্রকাশ্যে খুলেছে সিলেট আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব। আওয়ামী লীগের সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে সিলেট ছাত্রলীগ নিয়ে ক্ষোভের কথা তুলেন ধরেছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ।

 


সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে সিলেট সার্কিট হাউসে সিলেট জেলা ও মহানগর  আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় ছাত্রলীগের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে খোলামেলা বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা।

 

মাসুক উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি কিছুতেই বুঝাতে পারি না, এটা সভাপতি হিসেবে আমার ব্যর্থতা। আমি চাই সবাইকে নিয়ে শক্তিশালী আওয়ামী লীগ করতে। ছাত্রলীগের অনেক কথা শুনি। তোমাদেরকে বলার আমাদের সাহস নেই। ইজ্জত থাকবে না আমাদের। অনেক কথা সিলেট শহরে শুনি। সিলেট শহরে হাটতে পারিনা।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ আমাদের ছোটভাই। আমরাও ছাত্রলীগ করেছি। আমরা কোন বদনাম নিয়ে আসিনি। ছাত্রলীগ থেকেই আজকের এই পর্যায়ে এসেছি। তোমরা রাতে বালিশে মাথা রেখে চিন্তা করো। বুঝতে পারবে। সবদিক চিন্তা করে চলাফেরা করবে তাহলে সংগঠনের লাভ হবে।

 

মাসুক উদ্দিন যখন এই বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন সভায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদ।

 

মতবিনিময় সভার নানক ছাড়াও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ এমপি, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট-৩ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ ডন এবং সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্নস্থরের নেতা উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রসঙ্গত- ধর্ষণ, ছিনতাই, চোরাচালান, চাঁদাবাজি, নিজেদের মধ্যে মারামারি, কিশোরং গ্যাং নিয়ন্ত্রণসহ নানা অভিযোগ রয়েছে সিলেটে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

 

গত ১৪ জুন চিনিকাণ্ডের ঘটনায় বিয়ানীবাজার উপজেলা ও বিয়ানীবাজার পৌর শাখাকে বিলুপ্ত করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক প্যাডের বিজ্ঞপ্তিতে  সিলেটের এই দুটি ইউনিটকে বিলুপ্ত করে।

 

এরআগে গত ৮ জুন সীমান্ত উপজেলা বিয়ানীবাজারে সরকারি নিলাম ডাক থেকে কেনা ব্যবসায়ীর ২৪ লাখ টাকার চিনি লুটের ঘটনায় ছাত্রলীগের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় গ্রেফতার হন পাঁচ ছাত্রলীগ কর্মী।

 

চিনি লুটের মামলার আসামি ও বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সফিউল্লাহ সাগরের সঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক তাহমিদের মোবাইল ফোনে কথোপকথন সামাজিক মাধ্যমগুলেঅতে ভাইরাল হয়। ৬ মিনিট ২ সেকেন্ডের ফোনালাপতে লুট করা চিনি কীভাবে ভাগভাগি করা হয়েছে, কারা নিয়েছেন, উদ্ধার করা যাবে কীভাবে, তা বলা হয়েছে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / মাহি