সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পানি কমতে শুরু করেছে, তবে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বাসাবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ক্ষতচিহ্ন ভেসে উঠছে। বিশেষ সংকট দেখা দিয়েছে গোখাদ্যের। এ ছাড়া জমে থাকা নোংরা পানি থেকে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে।

 



দুই দিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় ও উজানের পাহাড়ি ঢল থেমে যাওয়ায় গোয়াইনঘাটে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি উন্নতির দিকে রয়েছে। গতকাল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কোথাও বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া যায়নি। নদ-নদীর পানিও বাড়েনি।

 

এদিকে বন্যাকবলিত এলাকায় বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি, মৎস্য ও পশুর খামার তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বন্যার পানি তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল-কলেজে আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করায় চলমান ঈদের বন্ধের পর পাঠদান শুরু নিয়ে সংশ্লিষ্টরা চিন্তায় রয়েছেন। 

 

উপজেলার বিভিন্ন বাড়িঘর রাস্তাঘাটের পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভেতরে পানি প্রবেশ করেছে। এতে স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবাও বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বন্যাকবলিত মানুষের পাশাপাশি উপদ্রুত এলাকার মানুষ তাদের গবাদিপশুও নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। 
 

 

সরজমিনে পরিদর্শনকালে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানি কমেছে। তবে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। উপজেলার নন্দিরগাওঁ ইউনিয়নের কচুয়ারপার গ্রামের বাসিন্দা জাবেদ হোসেন বলেন, বাড়ির ভেতরের পানি কমলেও গ্রামের চারদিকে শুধু পানি আর পানি। রাস্তাঘাট পানির নিচে রয়েছে। একমাত্র নৌকা দিয়ে চলাচল করে গ্রামবাসী। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। খাদ্যের অভাবে গবাদিপশু দুর্বল হয়ে পড়ছে। এ ছাড়া এই এলাকার মানুষ আর্থিকভাবে অনেকটা দুর্বল। এ অবস্থায় বারবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনেকেই নানামুখী সমস্যায় রয়েছেন।

 

 

সিলেটভউ২৪ডটকম/ নাজাত