রাত পুহালেই পবিত্র ঈদুল আযহা। যাকে কুরবারিন ঈদও বলা হয়ে থাকে। উৎসবের আনন্দ একে অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে সিলেটের মানুষের এখন চলছে শেষে প্রস্তুতি। এই ঈদে গরু, ছাগল থাকে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। সে তুলনায় ফ্যাশন হাউজ-বিপণিবিতানে তেমন ভিড় নেই। তবুও অনেকেই কিনছেন নতুন জামা।



নগরীর বিভিন্ন শপিং মলের ব্যবসায়ীরা বলছেন- গত শুক্রবার বেচাবিক্রি কিছুটা হয়েছে। আজ রোববার রাতে বেশী বিক্রি হবে।


এদিকে নগরীর অনেক শপিং মলে মূল্যছাড়সহ নানান সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এরপরও দোকানগুলোতে ক্রেতার দেখা তেমন মেলেনি তেমন।


রোববার (১৬ জুন) দুপুরে নগরীর অভিজাত শপিং মল হিসেবে পরিচিত  ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, কাকলী শপিং সেন্টার, সিটি সেন্টার, আল-হামরা শপিং সেন্টার,  সিলেট প্লাজা, সিটি সেন্টার, নয়াসড়ক ও কুমারপাড়ায় অবস্থিত ফ্যাশন হাউসসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।



আল হামরা শপিং সিটির ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল সিলেটভিউকে জানান, সাধারণত রোজার ঈদে বেশী বিক্রি হয়। আর কোরবানির ঈদে কম বিক্রি হয়। এবার কোরবানির ঈদে বেচাবিক্রি কিছুটা কম। অন্য বছরগুলোতে যেভাবে বিক্রি হতো এবার সেভাবেই হচ্ছে।


বন্দরবাজারের মধুবন শপিং সেন্টারের ব্যবসায়ী রাহিন সিলেটভিউকে আলম বলেন, কোরবানির ঈদে কিছুটা বিক্রি হয়। তবে আমাদের মোটামোটি বিক্রি হচ্ছে। বেশী নারীরা আসছেন কেনাকাটা করতে।


এদিকে, সিলেটে সার্মথবান মুসল্লীদের অনেকেই পশু কেনা সম্পন্ন করেছেন। এবার ভিড় করছেন ঈদের জামাতের অন্যতম অনুষঙ্গ আতর, সুরমা, তসবিহ, টুপি ও জায়নামাজের মতো পণ্যের দোকানগুলোতে।


বন্দরবাজারের কুদরত উল্লাহ মার্কেট, বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মার্কেট ও কালেক্টরেট জামে মসজিদ সংলগ্ন দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায় ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।


সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে  সিলেটের ঈদবাজার। জুমার নামাজ শেষে ছোট-বড় মার্কেট, বিপণিবিতান এবং ফুটপাতের টুপি, আতর ও তসবির দোকানগুলোতে ভিড় করছেন মুসল্লিরা।


বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনের টুপি দোকানদার আবুল জানান, নামাজ পড়ে সবাই ঈদের টুপি আগেভাগেই কিনছেন। এই দোকানে ৩০টাকা থেকে ৬০০ টাকা দামের টুপি আছে।

বন্দরবাজার করিমউল্ল্যাহ মার্কেটের টুপি ও আতর ব্যবসায়ী জমির মিয়া বলেন, ঈদ-রমজান এলেই টুপি এবং আতরের চাহিদা বেড়ে যায়। এবারও কোরবানির ঈদে শেষ সময়ে এসে মুসল্লীরা  টুপি ও আতর কিনছেন।

তিনি জানান, বাজারে টুপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০০শত টাকা, জায়নামাজ পাওয়া যাচ্ছে ২০০ থেকে কয়েক হাজার টাকা এবং আতর বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত।



সিলেটভিউ২৪ডটকম / মাহি